চলে যাক সবাই,
চলে যাক !
স্বার্থপর এই শহর একা হয়ে যাক খুব!
ইট কাঠের পুরো শহরজুড়ে শিয়াল ডাকা রাত নেমে আসুক খুব সন্ধ্যায়।
জরাজীর্ণ বাসের হেলপার কিংবা ঝকঝকে মেট্রোর র্যাপিড পাস বিক্রেতা
চায়ের দোকানের মামা অথবা আড়ং-স্বপ্নের কালো কোট পড়া দিনমজুর
সবাই…চলে যাক সবাই…
আবার ঝড় উঠুক গ্রামীণ হাঁটে
প্রথম ভোরের আলো ফুটুক ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপে
সারাদিনের ক্লান্তি ছাপিয়ে শেষ বিকেলের সূয্যিটা ডুব দিক গ্রামীণ বধূর মাটির কলসিতে
বদ্ধ শহরের চার হাত ছাদটাও খালি হয়ে যাক
সবাই ফিরে যাক, জমে যাওয়া বৃষ্টির জলের ফুটবল মাঠে
শরিফ শরিফা আর “স্যার” এর আধুনিকতা হারিয়ে যাক “মাস্টারমশাই” এর বেত্রাঘাতে।
দাদী নানীরা আবার খুলে দিক গল্পের আসর
উঠোন জুড়ে চাঁদের আলোয় আবার বসুক “বেহুলা লক্ষিন্দরের” অসমাপ্ত বাসর।